Sunday, November 9, 2025

Delulu and Danger of Innocence of Law



The persistent political crisis in Bangladesh is often framed as a binary dilemma: is the nation suffering from a flawed political culture, or from a flawed constitution? The pragmatic answer is that these two pathologies are inextricably linked. While reforming the constitution will not, in isolation, cure the nation's political ills, it is equally true that no meaningful political recovery is possible without fundamental constitutional reform. A new political settlement (a noya rajonitik bondobosto) is inconceivable without a new constitutional framework. This essay argues against the popular academic and political tendency to treat the constitution as an "innocent" document, a mere victim of "abuse" by malign political actors. Instead, it posits that the Bangladeshi constitution, in its current form, is not a passive victim but an active enabler, a legal architecture of the very autocracy it supposes to prevent.

A more nuanced claim in academic discourse suggests that the constitution itself is sound, but that autocracy has arisen from its abuse by those in power. This concept is known as ‘abusive constitutionalism.’ This distinction, while academically tidy, is politically perilous. To absolve the constitution of culpability is to create a dangerous political narrative that no structural reform is necessary, only a change in political leadership. This view conveniently ignores the generalized and a simple claim," which is far more direct: the constitution possesses an inherent, autocratic framework. Its design rules facilitate the creation of a prime ministerial dictatorship, a system of party-based autocracy where checks and balances are systematically eroded, leaving the executive supreme. The constitutional structure is a blueprint that designs its occupant for autocratic rule.

The danger of the "innocent constitution" narrative is that it creates a legal and political impasse. If the constitution is fundamentally sound, then the recent period of autocratic governance must be legally designated as "unconstitutional." Yet, proponents of this view are conspicuously silent on this legal determination. This silence provides political cover, fostering a narrative that the system works, thereby obstructing the critical task of identifying and reforming the specific enabling provisions and design flaws that pave the way for dictatorship. As long as this view prevails, the nation will remain trapped in a cyclical debate about "abuse" and "crisis," while the structural foundations of autocracy remain untouched.

This reluctance to blame the framework may stem from a non-positivist legal tradition that instinctively views law as an innocent, neutral arbiter. This view must be challenged. A constitution is not an abstract, infallible text; it is a human-crafted political document, and it can be guilty. It can contain flaws, omissions, and ambiguities that are either accidental or, more cynically, deliberately engineered by autocratic forces to serve their own ends. As was noted by Tajuddin Ahmad in the 1972 Constituent Assembly, constitutions have limitations and cannot foresee all futures. When those limitations are exposed and exploited for decades, they cease to be theoretical weaknesses and become active components of the autocratic machinery.

Ultimately, the argument for reform must transcend a utopian faith in the character of political leaders. We cannot build a state that functions only if its leaders are virtuous, like a Justice Habibur Rahman, and which collapses if they are power-hungry. A sound constitution must be built on a more cynical, and realistic, view of human nature. It must be robust enough to constrain the worst impulses of its leaders.

If, for example, the inclusion of term limits for the prime minister would demonstrably reduce the probability of long-term autocracy, then the absence of such limits is not a neutral feature, it is a critical and culpable constitutional flaw. It is precisely because of such flaws, omissions, and structural imbalances that the Bangladeshi constitution can and must be held responsible for its role in fostering autocracy. For a people who have experienced the crushing weight of such a system, doubting the innocence of law is not cynicism; it is a political virtue. A constitution designed for an autocratic prime minister and serially abused by autocrats must be damned, alongside the political actors, as a root cause of the autocracy itself.

_
(Note: Translation and Editing help was taken from an AI)


Creative Commons License
This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International License.

Tuesday, November 4, 2025

ইফতেখার মাহমুদ

ভাই কেমন আছেন? 'ভাল আছি। আমরা নাটোর যাচ্ছি।'

- 'কখনও নাটোর যাই নাই। একবার আপনার সাথে যেতে হবে।'


.

'ঈশ্বরদীর আকাশ সবচে সুন্দর!'

 - এই কথা নিশ্চয়ই কোন প্রমাণ সাপেক্ষ বক্তব্য নয়; শুধু সৌন্দর্যের ব্যক্তিগত আস্বাদন ছাড়া। শুয়ে শুয়ে আকাশ দেখেন এবার, ভাই। :(

.


বার বার মনে হয়েছে, শেষ বারও মনে হয়েছে  আপনার সাথে কথা বলার আরও সময় আছে। কথার জন্য আপনাকে পাবোই। এমনই সহজ সাবলীল দয়ামায়ায় ছিলেন আমার কাছে। 

.

খোদা তালার অংক কেমন; এমন লোকের আয়ু দিলেন কম!

.


Creative Commons License
This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International License.

Monday, October 13, 2025

ভাল্লাগেনা

১.
ছবররে নাকি সাপে কাটলো, বিষহীণ, ঢোরা সাপ
তার ছেলের জ্বর হইল, ব্যথা, ঠাণ্ডা, মুখ তিতা
রাস্তায় যে গাড়ি গুলা থেইকা গন্ধ বাইরায় - ফসিল পোড়া, জং ধরা - সেই সব গন্ধ আর সে সইতে পারে না,
এই বেদরদ গিজগিজি সিটি থেইকা তার মন চায় 'বিলের ধারে নদীর পাড়ে বইসা থাকি - কানা বগির আত্মীয়র মতন, পুকুরে নাইমা সাঁতার কাটি পুটি মাছের লগে,'
কিন্তু বিলগুলারে মাইনসে খায়া ফেলতেছে বাড়ি আর রাস্তা বানায়া, নদীগুলা কিছু মৃত কিছু বাঁইচা আছে, চুপচাপ যাইতেছে সুমুদ্রে অনেক দূরের গেরাম ভাইঙা, পুকুরে বসতি বানাইছে পাঙ্গাস আর নাইলোটিকা মাছেরা...
খালি বাকি আছে দুয়েকটুকরা মেঘ যার ভাগ দুপুরবেলা শুধু জেন্টস ওয়াশরুমের জানলারা পায়;

২.
আমি বেহুদা সমাজ কত্তে চাই না
তবু সিরিয়াসলি জানি বিবির ত গণসাইডে দণ্ড হইব না
এতো এতো শিশুদের পা আল্লার কাছে উইড়া যাওয়ার পরও মানুষের কদম আরেকটু কম শয়তানির দিকে আগুয়ান হইব না
আধমরা হওয়া ছাড়া মহত্‌ উদ্দেশ্যগুলো জিন্দা রইব না

৩.
আপনারও হয়, আমারও,
এই মাঝে মাঝে
ধরেন চোখজ্বালাপোড়া করে
আর বলতে থাকেন - ভাল্লাগেনা
...
#বুদবুদ
13/10/2025

Creative Commons License
This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International License.

Wednesday, March 26, 2025

মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলাম




মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলাম পরষ্পরকে বিরোধী হিসেবে বয়ানের অন্তত দুইটা ধারা আছে। এই দুই ধারা একে অপরের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। একদল মুক্তিযুদ্ধের দখল চায়; আরেকদল ইসলামের। এদের রাজনৈতিক দ্বন্ধ পরস্পরকে প্রাণশক্তি দেয় তাদের টোটালিটারিয়ান বয়ানের মাধ্যমে। 


কবি বলেছেন বয়ান আর সত্য আলাদা। 


১৯৭১ এ পাকিস্তানি আর্মি কর্তৃক সংগঠিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, আর চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধকে ইসলামসম্মত করার কোন সুযোগ নেই। পাকিস্তানের চাপিয়ে দেয়া অন্যায় যুদ্ধকে ইসলামের পক্ষের দাবি করা ইসলাম বিরুদ্ধ কাজ। তবু এ বিষয়ে যে রাজনীতি ডিনায়াল আর দেলুলুর মধ্যে আছে তা বাংলাদেশের মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। 


পাকিস্তান আর ইসলামকে সমার্থক করে দেখার মাধ্যমে ইসলামের একধরনের রাজনৈতিক মালিকানা আদায়ের চেষ্টা রয়েছে। এতে বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য এক ধারাবাহিক রাজনৈতিক বিপদ পুনরুৎপাদিত হয়। মূলত এক্সট্রিম সেক্যুলারিজম বাংলাদেশে ইসলামোফোবিয়া এবং ধর্মবিদ্বেষে রূপান্তরিত হয়েছে এ ধরনের অবস্থানের বিরুদ্ধে এক সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক বয়ান তৈরির মাধ্যমে। একটা আদর্শিক এবং দার্শনিক তর্ককে মুক্তিযুদ্ধের বয়ানের মধ্যে একচ্ছত্রভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে।


যারা পাকিস্তান বিরোধিতা আর ইসলামের বিরোধিতাকে এক করে দেখার ত্রুটি স্পষ্ট করা প্রয়োজন। একটি ত্রুটি হচ্ছে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অখণ্ডতার প্রতি আনুগত্যকে ইসলামের প্রতি আনুগত্য হিসেবে ধরে নেয়া। একথা অস্বীকার উপায় নেই যে পাকিস্তান রাষ্ট্র তৈরি হওয়া এবং তাতে যোগ দেয়াকে বাংলার মুসলমানরা এবং অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বাংলার বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সমাধান হিসেবে দেখেছিলেন। কিন্তু ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যকে ঈমানের অঙ্গ মনে করা, সেই বয়ানের মধ্যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মুসলমানদেরকে রাখতে চাওয়া এবং এখনো সেই বয়ানকে নির্ভুল মনে করা - বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে বিপদে ফেলেছে। ইসলাম বিদ্বেষের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে বাংলাদেশের আলেম সমাজকে। এমনকি এই বয়ানে ১৯৭১ সালে মওলানা ভাসানীকেও কাফের ঘোষণা করা হয়েছিল। 


৭১ এর পাকিস্তান পৃথিবীর একটি জঘন্যতম গণহত্যা চালিয়েছে। ইসলাম, পাকিস্তানের অখণ্ডতা, কিংবা জাতিবাদী শ্রেষ্ঠত্ব - কোন কারনেই এমন গণহত্যা জাস্টিফাই করা যায় না। আন্তর্জাতিক আইনে ধরা হয় এসব এমন অপরাধ যা ইয়ুস কোজেনস। এমন কিছু মৌলিক নীতি যা সকলেই মানতে বাধ্য। এছাড়া ইসলামিক হিউম্যানিটারিয়ান ল অনুযায়ী এসব কাজ অপরাধ। যদিও বাংলাদেশে শরিয়ার জায়গা থেকে এসব অপরাধ কেউ ব্যাখ্যা করেছে বলে মনে হয় না।  আন্তর্জাতিক আইনে সুস্পষ্টভাবেই এসব নিষিদ্ধ এবং অপরাধ। তৎকালীন পাকিস্তানের আইনে তা নিষিদ্ধ অপরাধ ছিল। 


মুক্তিযুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছিল না; মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি আগ্রাসী আর্মির বিরুদ্ধে এই জনগোষ্ঠীর একটা প্রতিরোধ যুদ্ধ। প্রেক্ষাপট বিচারে একটি জালেম রাষ্ট্র কাঠামোর বিরুদ্ধে একটা জনগোষ্ঠীর নিজেদের পুনর্গঠনের লড়াইয়ের একটা এপিসোড। (যেই রাষ্ট্র কাঠামো একই সাথে ভৌগলিকভাবে অসম্ভব ছিল। ১৯৪৭ পরবর্তী দুনিয়ায় ভেঙে পড়তে থাকা উপনিবেশ তখনো অনেকের ঘোর কাটাতে পারেনি। অনেকেই দুনিয়ায় উপনিবেশি রাষ্ট্র কাঠামোকে (ভৌগলিকভাবে)  স্বাভাবিক অবস্থা হিসেবে ধরে নিয়েছেন। অথবা আদর্শিক কারনে কেউ কেউ ভূগোল অস্বীকার করতে চেয়েছেন।) 


মুক্তিযুদ্ধ সেক্যুলারিজম বনাম ইসলামের যুদ্ধ ছিল না। যে কট্টর সেক্যুলারিজম বাংলাদেশে ইসলামোফোবিয়ায় রূপ নিয়েছে সেই বয়ানের একটি পূর্বানুমান (বা ভিত্তি) হচ্ছে ইসলাম আর মুক্তিযুদ্ধ পরস্পর বিরোধী। এই কট্টর সেক্যুলারিজম বাংলাদেশে ইসলামোফোবিয়ায় রূপ নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের নামে ইসলাম বিদ্বেষের এই মতলববাজি সেক্যুলার বয়ান মুক্তিযুদ্ধে ইসলামের ভূমিকা বিষয়ে অনেক সত্য আড়াল করে রাখে। বাংলার হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান - অর্থাৎ ধর্ম নির্বিশেষে এবং জাতি নির্বিশেষে - পাহাড়ি বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্র হিসেবে জন্মকে সমর্থন জানিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র এবং মুক্তিযুদ্ধে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অবস্থান দেখলেও এ বিষয় স্পষ্ট হবে যে ইসলামের নাম চিহ্ন এবং রূহানিয়াতের উপাদান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা রেখেছে। 


ধর্মযুদ্ধ নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধ ছিল জালেম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মজলুম বাংলাদেশী মানুষের যুদ্ধ। 


বাংলাদেশে ইসলামকে মুক্তিযুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড় করানোর মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে যেই দুই গোষ্ঠী প্রাসঙ্গিক থাকতে পারে তাদের মধ্যে সেক্যুলারিজমের কট্টর অংশ (ইসলামোফোবিক) ৭১ পূর্ব পাকিস্তানের সমস্যাকে ধর্মনিরপেক্ষতার সমস্যা হিসেবে সংকোচন করতে চায়। পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক ‘বৈষম্য’ কিংবা বাঙালির অধিকার বঞ্চনার আর সব ব্যাখ্যা এক্ষেত্রে গৌন হয়ে যায়। জাতীয়তাবাদী অর্থনৈতিক বৈষম্যের ব্যাখ্যাকে গৌণ করার মাধ্যমে এক স্ববিরোধী বয়ান উৎপাদন করে। এর ফলে আড়ালে চলে যায় এই ভূখণ্ডের মানুষের নিজেদের রাষ্ট্র হিসেবে গঠিত হওয়ার আকাংখ্যা। 


ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধকে মুখোমুখি রাখার এজেন্ডা যেন বাংলাদেশের মানুষকে আর প্রতারিত না করতে পারে। যদিও অনেকের জন্য ইতিহাসের এই চর্চা আপাত দৃষ্টিতে রাজনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হবে। তবু বাংলাদেশের রাজনীতিকে টোটালিটারিয়ান ভায়োলেন্স থেকে বের করার জন্য ইতিহাসের এই চর্চা দরকার।

-

মার্চ ২৬, ২০২৫



Creative Commons License
This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International License.

Thursday, October 10, 2024

থেকো আপন ধ্যানেতে মগ্ন


যার যা কাজ, সে তা ঠিকঠাক করলেই ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র ভাল থাকে। মানুষের সুখ-শান্তি বাড়ে। জীবনের জটিলতা কমে।


যার যা কাজ, সে যেন তা করে - এই কথা আমার জন্য তাই মোটিভেশনাল। নিজেরে লাইনে রাখার জন্য দরকারি কথা। নিজের কাজ যেন করি।
.

আমার একটা কাজ - আমি নিজেই ঠিক করেছি - চিন্তা করা। তাই এই বিষয়টা নিয়ে একটু চিন্তা করলাম।
.

যার যা কাজ, তা তো করতে হবে, কিন্তু -

কার কাজ কি?

একটু জটিল প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর যারা সব সময় স্পষ্ট জানেন এবং মনে রাখেন তাদের জন্য জীবন শান্তির। মানে অশান্তি আসলেও আপনি তা সামলে নিতে পারবেন, যদি আপনি জানেন আপনার কাজটা কি।

দুঃখের ব্যাপার, অতিশয় দুঃখের ব্যাপার, অতি অতি অতিশয় দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে আমরা অনেকেই জানিনা আমাদের কাজটা কি!

কিভাবে জানবেন আপনার কাজ কি? বাঙালিরা এ ব্যাপারে খুবই হেল্পফুল। নিজের কাজ অনেকে না জানলেও আরেকজনের কাজ কি তা জানে। যদিও আমরা এটাকে বলি আরেকজনের জীবনে নাক গলানো, কিন্তু আপনি যদি নিজে না জানেন আপনার কাজ কি তাহলে এরকম অন্যের নাক গলানোর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন। অথবা যেচে দেয়া উপদেশ বার্তার মাধ্যমে আপনি আপনার কাজ জানতে পারবেন। তবে প্রজ্ঞাবান মানুষরা সচরাচর এই উপদেশ দেন না। কয়েকজন সেরা শিক্ষকের সাথে কথা বলেছিলাম কিশোর বয়সে। তারা উল্টো জানতে চাইতেন আমি কি চাই, তারপর সেই বিষয়ে বলতেন দরকারি কথা। সেইটাই হওয়া উচিত বলে মনে হয়।
.
কাজ ঠিক করা, বা কাজ থাকা যেমন ভাল, আপনার কাজ না থাকলেও জীবন ভুল হয়ে যায় না, শেষ হয়ে যায় না, নিরানন্দ হয়ে যায় না। কাজ যে থাকতেই হবে এমন কোন অলঙ্ঘনীয় বিধান কার্যকর নাই। জীবনের চাপে অথবা অপরের যাপনের চমকে আমরা হয়তো প্রায়ই দুঃখে পড়ি - কাজ নেই। যদি কাজ প্রয়োজন মনে হয়, আরা কাজ না থাকে - তবে কাজ খোঁজাটাই কাজ। কবি বলেছেন - ‘কাজ চাই, কাজ। ... দালালি থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ... ”

যেহেতু আমরা জানিনা আমাদের কাজ কি, তাই বিভিন্ন উৎসে গিয়ে আমরা সেই করনীয় খুঁজি।

বিভিন্ন বিশ্বাস ব্যবস্থা কাজ ঠিক করতে মানুষের গাইড বই হিসেবে সহায়তা করে। নাবালক মানবজাতির গাইড বই দরকার হয়। এই গাইডকে বিপদজনকভাবেও ব্যাখ্যা করেন। এক্ষেত্রে এটুকু উল্লেখ করা প্রয়োজন যে মানুষের জীবন শুধু পারলৌকিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তার ইহলৌকিক জীবন আছে। এমনকি পারলৌকিক জীবন ইহলৌকিক জীবনের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। পরকালসর্বস্ব চিন্তা আর পরকালীন চিন্তাও এক নয়। মানুষের সুখ-শান্তি শুধু পরকালেই পাওয়া যাবে, ইহকালে সুখ-শান্তি সম্ভব নয় - এমন চিন্তা পরকালসর্বস্ব। আর ইহকালে কল্যানকর কাজ, এবং তার মাধ্যমে সুখ শান্তি সম্ভব এমন ইহকালীন চিন্তা পরকাল সংক্রান্ত চিন্তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

মানুষের নিজের জীবনের কাজ ঠিক করার জন্য তার প্রজাতিগত অভিজ্ঞতা আরেক মূল্যবান উৎস। তাই মহামানব মহামানবীদের জীবনের কাছে অনেকেই যাতায়াত করেন। বন্দনা করেন সে যাত্রাকে - ‘মহাজ্ঞানী মহাজন, যে পথে করে গমন, হয়েছেন প্রাতঃস্মরনীয়।/ তাদের সে পথকে করে অনুসরণ, আমরাও হবো বরনীয়।’ তবে প্রাণী হিসেবে আমরা নিজেদের জীবনের কাজ ঠিক করার জন্য আমাদের যারা লালন-পালন করেন - যেমন আব্বা আম্মা - তাদের কাছে যাই বেশি; তাদের দ্বারা প্রভাবিত হই বেশি। মানুষের জ্বিনগত স্বভাব।

তবুও অনেক লোকেই নিজেদের কাজ ঠিক করতে পারে না। মানুষ যে কোন কিছু করতে পারে, কিন্তু সব কিছু পারে না। তাই তাকে বাছাই করতে হয়। কাজ বাছাই করা তাই জরুরি।
.

যার যা কাজ তা ঠিকমত করলে সমাজের সুখ যে বৃদ্ধি পায় এ কথা আধুনিক দুনিয়ায় ভালমতন বুঝেছেন এবং বুঝিয়েছেন অ্যাডাম স্মিথ। ডিভিশন অব লেবার নামক থিওররি কাজের দুনিয়ায় এখন প্রধান এক নিয়ম। সেই নিয়ম যে কেমন অ্যাবসার্ড এবং ভায়োলেন্ট হয়ে উঠে তা এসেছে কার্ল মার্কসের বড় বইয়ে। শুধু মজুরি প্রাপ্তি ছাড়া কাজের ভেতর আর কোন অর্থময়তা থাকে না - এমনই রিডাকশিও অ্যাড অ্যাসুর্ডুম টাইপের হাস্যকর বাস্তবতা তৈরি হয় অ্যাডাম স্মিথের ভাগাভাগি করা কাজের ফ্যাক্টরিতে।

আমরা সালমান এফ রহমান আর একজন গোয়েন্দা প্রধানের আলাপের মধ্যে এ বিষয়টা বুঝতে পারি। যেহেতু রাষ্ট্রের কাজের ভাগাভাগি আছে, গোয়েন্দাদের যা কাজ তার কিছুটা বাইরে (!) না গেলে তার সিকিউরিটি চেক করার কাজটি অর্থহীন এবং অ্যাবসার্ড হয়ে পড়তো। আর কাজের ভাগাভাগির সেই অ(অসৎ)সুবিধাই এনজয় করতে চেয়েছিলেন জনাব রহমান।

ভায়োলেন্সটাকে বলা যায় অ্যালিয়েনেশন। শ্রমিক থেকে শ্রমকে বিচ্ছিন্ন এক পণ্য আকারে হাজির করে এই কাজের ভাগাভাগি। দাস শ্রমে দাসকে যতটা তার শ্রমকে যতটা বিচ্ছিন্ন করা যায়, তার চেয়ে বেশি আলাদা করা যায় সম্মতিনির্ভর শ্রম ব্যবস্থায়। মানুষ আর মেশিন সমান সমান হয় প্রথমে, সেইটা হইলেই মানুষের চেয়ে ইফিসিয়েন্ট এবং বেশি শ্রমের মেশিনের মাধ্যমে মানুষকে কর্ম থেকে উৎখাত করা সম্ভব হয়। সেই অল্পবুঝা গভীর আলাপ আর বাড়ানোর ক্ষমতা আমার নাই।

কাজের শ্রেণিবিভাগকে নাকচ করা এক নান্দনিক ইউটোপিয়া হচ্ছে সকালে মিস্তিরি, বিকালে জেলে, সন্ধ্যায় একজন গায়ক হইতে পারার মত অর্থময়, অবিচ্ছিন্ন, এক কাজের মানুষের জীবন। মানুষের সেই সুখের সম্ভাবনা রয়েছে। মানব প্রজাতির অনেকেই তা কিছু কিছু ভোগ করেছেন। এখন যারা তা পারেন, তা হাজির হয় অল্প কিছু লোকের লাক্সারি হিসেবে। অথচ মানবজাতির সকলেরই জীবনের এই আনন্দময় কর্মময় এবং অর্থপূর্ণ জীবনের দর্শন বা অর্থনীতি এক নম্বরে আসার কথা।

যতদিনে পৃথিবীটা সেই স্বপ্নের দেশ না হচ্ছে ততদিন সুখ শান্তির এক টুকরা নিজের জন্য আদায় করতে হয়তো কোন একটা ভোকেশন বা প্রফেশন ঠিক করা দরকার। যে তা ঠিক করলো, সে যাতে সমাজের আর দশের সাথে মিলে দশের কাজে বিঘ্ন না ঘটায়ে কর্ম করিয়া বাঁচতে পারে তার নিশ্চয়তা রাষ্ট্রীয় জীবনের খুটা।
.
এইটার আরো অ্যাডভান্স দিক হচ্ছে স্পেশালাইজেশন।
.

জীবনের প্রবাহমান স্রোতে কত উথাল-পাতাল ঢেউ থাকবে। তবে নিজের ভেলা বেয়েই যাইতে হবে। আমাদের সময়ের একজন বড় কবি সায়ান তাই বলছেন, মাঝে মাঝে এমন হবে -
”হয়তো তোমার জন্যে এটা সু-সংবাদের লগ্ন
রেখো নিজের দু কান বন্ধ থেকো আপন ধ্যানেতে মগ্ন
এটা নতুন কিছুই নয়তো এ যে সকাল বিকাল ঘটছে
কতো সোনা দিয়ে বাঁধা ঝকঝকে নাম তাতেও তো জং ধরছে”
.
নিজের দুকান বন্ধ রেখে আপন ধ্যানেতে মগ্ন থাকার উপদেশ তিনি দিয়েছেন। তবে আপন ধ্যানে মগ্ন থাকার রাষ্ট্রীয় আয়োজন যেহেতু এখনো অসম্পূর্ণ তাই মাঝে মাঝে চোখ-কান খুলে আমাদের মিছিলে নামতে হয়। আমরা নামি। মিছিলের ভিতর দিয়ে বদলে যাওয়া মানুষ হয়ে ঘরে ফিরি, হাসপাতালে কাতরাই, কবরে ঘুমাই।
.
(জীবন যদি অন্য দিকে নিয়ে যায়, হয়তো যাব; মানুষের ঠিক করার বাইরেও জীবন আছে।) মাঝে মাঝে মনে হতে পারে খুবই ফ্রাজাইল, আনবিয়ারেবল মিনিংলেসনেস অব বিয়িং তথা অর্থহীনতার চতুর আমন্ত্রণও আসতে পারে, বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে শ্রম এবং জীবন...

তবু কাজ ঠিক করো
‘থেকো আপন ধ্যানেতে মগ্ন’
..


Creative Commons License
This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International License.

Friday, September 20, 2024

আবু বকর থেকে তোফাজ্জল ও বাংলাদেশ ২.০

১.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট থাকার সময়ে আমাদের পাশের হল - এফ রহমান - এর আবু বকর নামে এক স্টুডেন্ট নিহত হন। ছাত্রলীগের দুইপক্ষের মারামারিতে গুলির আঘাতে নিহত হন আবুবকর। তখন শুনেছি গুলি লেগেছিল তার মাথায়। প্রায় সাত বছর পর জানা যায় আবু বকরকে কেউ খুন করেনি। (প্রথম আলো ২৬/০১/২০১৮)।
নক্ষত্রের দোষেই জগতে বহু ঘটনা ঘটে!
ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মী সবাই খালাস পেয়েছেন সেই মামলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এতো এতো গৌরবের অগোচরে মামলার আপিলের তারিখও নাকি পার হয়ে গিয়েছে। তারো কয়েকবছর পর একটি উপন্যাস হয়েছে, ‘আমি আবু বকর’ নামে, পড়ি নাই, আইনের অধ্যাপকদের এ বিষয়ে গবেষণা হলে পড়তাম!
তবে আবু বকরের মৃত্যুর মাস খানেক পর তার ফাইনাল ইয়ারের রেজাল্টে তিনি প্রথম হন। রেজাল্টের খবর পেয়ে আবু বকরের মা রাবেয়া খাতুন বলেছিলেন, ‘আমার নির্দোষ বাবারে যারা হত্যা করল, তাগো বিচার হইলো না! এইডা ক্যামন দেশ!’
২.
২০১৩ সালে আমার একজন বন্ধুকে কনভোকেশনের আগের দিন মারধোর করার পর হলের ছাদ থেকে ফেলে দিতে চেয়েছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হলের একজন কর্মচারী সেখানে তার জীবনের উছিলা হয়ে হাজির না হলে ভয়ংকর কিছু ঘটতো। যা ঘটেছে তাও কম ভয়ংকর নয়।
একই সময়ে একরাতে একজনকে মেরে চোয়াল ফাটিয়ে দিয়েছিল আমাদের সেইম ফ্লোরের একজনকে। যদিও আমি নিজে ভিক্টিম ছিলাম না, কিন্তু সেই ভয়ংকর স্মৃতি (ট্রমা মে বি) থেকে বের হতে আমার প্রায় ৪ বছর লেগেছে।
৩.
আমরা বের হওয়ার দুই/তিন বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খুবই মর্মান্তিক লেগেছিল হাফিজুর নামে একজনের মৃত্যুর খবর শুনে। হাফিজুর হলে উঠেছিলেন ছাত্রলীগের ‘বড় ভাই’দের মাধ্যমে। শীতের রাতে বারান্দায় থাকতে হতো তার। নিউমোনিয়া ও টাইফয়েড আক্রান্ত হয়ে মারা যান হাফিজুর।
কেউ তো দায়ী না, সেই মৃত্যুর জন্য!
নক্ষত্রেরই দোষ!
৪.
চোর সন্দেহে ফজলুল হক হলে পিটিয়ে মেরে ফেলায় হয় তোফাজ্জল নামের এক ব্যক্তিকে। আপনারা সবাই জানেন এ ঘটনা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মামলা করেছে। এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আশা করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সকলের জন্য নিরাপদ হবে; বিশ্ববিদ্যালয় সেই সংস্কার সত্যিই করতে পারবে।
৫.
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রায় ৮৭৫ জন নিহত হয়েছেন। হাজারের বেশি আহত। চোখ হারিয়েছেন অনেকে। মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এমন লোকও অনেক।
এসব অপরাধ যারা করেছেন তাদের বিচারও হবে বাংলাদেশে।
-
৬.
এমন মৃত্যু, প্রাণের অপচয়, অনিরাপদ জীবন অতিক্রম করতে পারলেই তা বাংলাদেশ ২.০; তার আগে নয়।
-
মহানগর
১৯/৯/২০২৪
Creative Commons License
This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International License.

Thursday, September 19, 2024

মাইর নিষিদ্ধ


একজন মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত অপরাধীকেও আঘাত করার অধিকার কারো নাই।
~
এ কথা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। কিন্তু এইটাই আমাদের রাষ্ট্রীয় জীবনের একটি মূলনীতি। আমরা কেউ কাউকে মারবো না।
কেউ যত বড় অপরাধ করুক না কেন তাকে মারা যাবে না। তাকে টর্চার করার অধিকার কারো নাই। পুলিশের নাই, আদালতের নাই, জেলখানারও নাই। প্রমাণিত চোর, ডাকাত এমনকি খুনিকেও মাইর দেয়ার অধিকার নাই।
আঘাত করা অপরাধ। আঘাতের ধরন অনুযায়ী তা ভিন্ন মাত্রার অপরাধ। আঘাত করে মেরে ফেলা আরো গুরুতর অপরাধ।
আরো স্পষ্ট করছি। তিনটা ক্ষেত্রে মাইরের উপক্রম বা ঘটনা ঘটতে পারে। (যদিও আরো অনেক অপরাধের সাথেই এ ব্যাখ্যা প্রযোজ্য হবে।)
১. অভিযুক্ত বা আসামি
কারো বিরুদ্ধে কোন অপরাধের অভিযোগ যদি থাকে তবুও তাকে মাইর দেয়া যাবে না। অপরাধের তথ্য জানলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা যেতে পারে, কিন্তু হামলা নয়। তাকে গ্রেফতার করে আইন শৃংখ্যলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দিতে হবে, আঘাত করা যাবে না।
একজন আসামিকে আইনশৃংখ্যলাবাহিনীও মারতে পারবেন না। কোন সাক্ষ্য প্রমাণ বের করার জন্যও না। টর্চার নিষিদ্ধ। বাংলাদেশে আইন শৃংখ্যলা বাহিনী কর্তৃক বিভিন্ন টর্চারের খবর আপনারা এতদিন শুনেছেন,দেখেছেন, এখনো মাঝে মাঝে দেখেন - এসব টর্চার - মাইর, হত্যা - তখনো বে-আইনি ছিল, এখনো বেআইনি। যত রিমান্ডে টর্চারের কথা শুনেছেন, তা যে কোন ভয়ংকর আসামির ক্ষেত্রেই হোক না কেন, তা বেআইনি। সংশ্লিষ্ট আইন শৃংখ্যলা রক্ষাকারী সদস্য(গণ) বেআইনি কাজ করেছেন, অপরাধ করেছেন।
কোন নাগরিকের কাউকে আঘাত করার অধিকার তো নাই, এমনকি কোন রাষ্ট্রীয় বাহিনীরও পিটানোর বা মাইর দেয়ার কোন অধিকার নাই। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এসব কাজ অপরাধ।
২. প্রমাণিত অপরাধের শাস্তি
অনেকের মনে হতে পারে শাস্তি হিসেবে মাইর দেয়া আইন সম্মত। কিন্তু বাংলাদেশে শাস্তি হিসেবেও কাউকে টর্চার করা যাবে না; আঘাত করা শাস্তি হিসেবেও আইনসম্মত নয়। বাংলাদেশে বৈধ শাস্তি হচ্ছে কারাদণ্ড, জরিমানা, আর মৃত্যুদণ্ড। বেত্রাঘাত কিংবা কোন ধরনের শারীরিক আঘাত বাংলাদেশে বৈধ শাস্তি নয়।
সশ্রম কারাদণ্ডও টর্চার বা শারীরিক আঘাত নয়।
(মৃত্যুদণ্ড শাস্তি হিসেবে থাকলেও অনেকেই মনে করেন, এ ধরনের শাস্তি থাকা উচিত নয়।)
শাস্তি হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও মাইর নিষিদ্ধ।
৩. আত্মরক্ষা
তবে মাইর একটা অবস্থায় বৈধ হতে পারে। তা হচ্ছে আত্মরক্ষার প্রয়োজনে। সেইটা তখন আর মাইর থাকে না। হয়ে যায় মারামারি। একপক্ষ মারলে তা মাইর, আর পরস্পর মাইর দিলে তা মারামারি। একজন শুরু করলে অন্যজন নিজেরে রক্ষার জন্য মাইর দিতে পারে।
আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে আইনের নির্দিষ্ট গ্রাউন্ড রয়েছে। তা কতটুকু বিস্তৃত হবে, তাও বলা আছে আইনে।
এছাড়া আইন-শৃংখ্যলা বাহিনীর কিছু কিছু ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু তাও আইনের বাইরে গিয়ে বল প্রয়োগের অনুমতি নেই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমরা বেআইনি বলপ্রয়োগের ঘটনা দেখেছি।
-
বাংলাদেশের একাধিক আইন (যেমন ৭২ এর সংবিধান, ১৮৬০ এর দণ্ডবিধি, ২০১৩ সালের নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন) এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার দলিলে (যেমন UN CAT) অনুযায়ী নির্যাতন বা মাইর বা টর্চার নিষিদ্ধ।
-
রাষ্ট্র মানে আমাদের যৌথ জীবন। রাষ্ট্রীয় জীবনের মূলনীতি হচ্ছে নাগরিকরা অপরাধের বিচারের জন্য আদালতে যাবে। নিজেরা মারামারি করবে না। একজন আইন লঙ্ঘন করলে তাকে মাইর দিবে না, কিন্তু আদালতের মাধ্যমে তার বিচার নিশ্চিত করতে।
-
এনএসইউ
১৯/০৯/২০২৪l rea
Creative Commons License
This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International License.

Delulu and Danger of Innocence of Law

The persistent political crisis in Bangladesh is often framed as a binary dilemma: is the nation suffering from a flawed political culture, ...