Wednesday, May 23, 2018

~মন দা~


~মন দা~

(মন্দা বা ডিপ্রেসন বিষয়ক)

বোকাসোকা দুঃখী মানুষ এক তার দুঃখ দূর হওয়ার কোন সম্ভাবনা কিংবা আশা খুঁজে পাচ্ছিল না।
সাধু গৌতমের ধ্যান জ্ঞান তার জানা থাকবার কথা নয়।

আশার খোঁজে সে বুদ্ধিজীবীদের মুখের দিকে নজর রাখবে ঠিক করলো।
মাওলানাদের মুখের দিকে।
নেতাদের ঠোঁটের দিকে।
জেল দারোগা জজ সাহেব উকিল সম্পাদক সিইও -
বুদ্ধি বিক্রির সকল পেশার পরিষ্কার মুখমণ্ডলের দিকে।
একটা ভবন ধ্বসে যেদিন শতশত লোক মারা গেল
ঠিক তার পরদিন
শহরের সবচে তীক্ষ্মবুদ্ধির বিক্রেতা
পাণ্ডিত্যের গৌরবোজ্জল ব্যবসায়ী
পৃথিবীর সকল সভ্যতার কলা জ্ঞানের দুঁদে পাঠক
কি এক অতিসুক্ষ্ম বাক্যালংকারে মুগ্ধ হয়ে খট খট করে হেসেছিলেন।
দুঃখী লোকটির তারপর আর কোন কৌতুহল থাকল না।
.
২৩ মে ২০১৮

প্রতিদিন রাষ্ট্রের ছবি

প্রতিদিন রাষ্ট্রের ছবি

কখোন মুছবো চোখ!
বাণী দিয়ে আর কত ধুয়ে দিবে পৃথিবীতে আমাদের বোধ:
“যদি কেউ দেখতে চায় সূর্যের আলো, সে যেন মুছে নেয় নিজেরই চোখ”?
কে আছে নির্বীকার?
বৃক্ষ?
দাঁড়িয়ে থাকে, ছায়া দেয়, দেয় ফুল ও ফল
কাটা পড়ে কাঠ হয় টেবিল চেয়ার খাটে
দাঁড়ায় সটান পায়ে শুয়ে থাকে মসৃণ তল
এত রক্ত বুলেট মৃত্যু শোকে
কোন গাছ বিদ্রোহ করেনি।
গাছেরা বলেনি -
‘আজ থেকে সব ফুল বারুদ হয়ে যাবে
সব ডাল ইস্পাতের ঢাল
সব ফল প্রাণঘাতী বিষের কৌটা
আমাদের বিদ্রোহ আবাবিল মানুষের প্রতি’
তবে কে আছে শোকনিস্পৃহ নিত্যাননন্দ মহাশয়?
বৃষ্টি?
‘যখন বৃষ্টি হবে তখন ভিজে যাবে ঘুমন্ত কবরের লোকটিও
কাউকে রেহাই দিবে না আকাশের জল’ -
এতটা পোয়েটিক রেভুলুশনারি থট
বিশ্বাস করবে না কেউ; এমনকি কবিদের মহাপুরুষ ইউনানী দার্শনিক রাজাও
বৃষ্টিতে সবাই ভিজে না -
কারো কারো আছে পলিথিন
কারো কারো টিনের গাড়ির ছাদ
কারো কারো বৃষ্টির পর গা মোছার গামছা
হয়তো ঝড়ের আগে নীরব পৃথিবীতে
বরফ বরফ নরোম বাতাস
মাঝে মাঝে ঘুর্ণিতালে সাপের চোখের মত নাচ
উঠানে মরবে যে কেউ মেঘের বজ্রচুম্বনে
তবে কে আছে নিস্পৃহ সাহসী সুন্দর?
কে আছে মেঘে?
কে আছে জলে?
কে আছে?
কে?
..
~প্রতিদিন রাষ্ট্রের ছবি~
২৩ মে ২০১৮

মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলাম

মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলাম পরষ্পরকে বিরোধী হিসেবে বয়ানের অন্তত দুইটা ধারা আছে। এই দুই ধারা একে অপরের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। একদল মুক্তিযুদ্ধের দখল চায়...