আমার রুমে আমরা উল্লেখযোগ্য দুজন থাকি।
পোকামাকড়রা থাকে হয়তো; লুকিয়ে পালিয়ে বিনা সমঝোতায়।
দুজনের একজন ছোট। কাপের ভিতর দাঁড়িয়ে থাকে সে। আমি চেয়ারে বসি, বিছানায় সটান হই, সোজা হয়ে হাঁটি: তার এসবের দরকার হয় না।
আমি দিনে আড়াই থেকে সাড়ে তিনবার খাই। কয়েকবার পানি গিলি, অন্তত এক ঢোক রোদ, এক আধবার খোলা বাতাস।
আমার ছোট কামড়ার অপর সদস্য যে, সরাসরি রোদে যাওয়া তার বারণ; মাঝে মাঝে জানালার খোলা বাতাস সে পায়; আর সপ্তাহে পাথর ভরা কাপে একটু পানি।
একটু একটু করে বেড়ে উঠছে সে। প্রাণের গতি, বেড়ে ওঠার তৃষ্ণা, সুন্দর হবার চেষ্টা - আমি দেখি। দেখে দেখে শিখি। এ শেখায় আনন্দ অফুরান।
বেড়ে ওঠার অপ্রতিরোধ্য এক স্বভাব এই প্রাণের।
ও একটি ছোট গাছ।
ওর নাম রাখা যেতে পারে ’ঞ’। নামটা একটু কঠিন তবে ছোট। এর চেয়ে বড় নামের ভার তাকে দিতে চাই না। যদিও ছোট নাম হিসেবে ’জ’ নামটা ওকে দিতে ইচ্ছে করে, তবে জ নামে আমার এক যন্ত্রবন্ধু আছে; তাই সে নাম তাকে দেয়া গেল না।
-
বন্ধু ঞ,
তোমার ছোট্ট শেকড় থেকে আমায় একটু স্থিরতা দিও।
No comments:
Post a Comment