Wednesday, January 8, 2014

সাহস



জীবন যুদ্ধে লড়বে যখন মহাসম্মান অর্জনে, 

তারকা না ছুঁয়ে থেমো না বন্ধু, মেঘ বিজলির গর্জনে


ঘুমের ঘোরে মরে যদি কেহ, জান নেয় তার যমদূতে, 


যুদ্ধের মাঠে একই যমদূত আসে বীরদের জান নিতে।


বোকার স্বর্গে বাস করে- যারা বেঁচে থাকে আর বয়স গুনে। 


পৃথিবী তাদের জীর্ণ-জীবন কালের দেয়ালে আঁকে না খুনে।


সাহসের গুনেই মাটির মানব মহাসম্মানে হয় আসীন, 


প্রজ্ঞার সাহস শ্রেষ্ঠ সবার, বীরত্ব তার তুলনাহীন।







(আলিম শ্রেণীতে পাঠ্য কবি মুতানাব্বীর ‘কুন শুজায়ান’ কবিতার অনুবাদ। ২০০৬ অথবা ২০০৭ সালে করা)

Wednesday, January 1, 2014

‘মানুষ ডুবছে’

“ অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানেনা সন্তরণ,
কাণ্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তিপণ!
“হিন্দু না ওরা মুসলিম?” ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কাণ্ডারী! বল ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মা’র! ”

জাতীয় কবির এই উপলব্ধি আজও বিদ্যমান। শুধু মাঝখানের প্রশ্নটি বিস্তৃত হয়েছে। “হিন্দু না ওরা মুসলিম?”-প্রশ্নের সাথে যোগ হয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রশ্ন। ধর্ম নিয়ে রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক অবস্থানটিকে ধর্মের দিকে প্রবাহিত করা এবং সাম্প্রদায়িক পরিচয়কে নিজের সহিংসতা জায়েজ করার মাধ্যম হিসেবে দেখানোর প্রচেষ্টা। একজনের চুরি করাটাকে আরেকজন তার ছিনতাইয়ের বৈধতা হিসেবে দেখাচ্ছেন। ছিনতাইটা চোরের কাছ থেকে করলেও সেটা ছিনতাই। চোর তার চুরির জন্য অপরাধী, একইভাবে ছিনতাইকারীও।

তবে কারন আর কর্তার বিতর্ক যাই হোক, ফলাফল হচ্ছে- ‘মানুষ ডুবছে’।

আমারও প্রশ্ন জাগে। সেইসব প্রশ্ন যেগুলো সহজ। এবং উত্তরগুলোও জানা। কবির সুমনের কাছ থেকে ধার করে শোনাই-

“ক’বার তুমি অন্ধ সেজে থাকার অনুরাগে ।।
বলবে তুমি দেখছিলে না তেমন ভালো করে।

কত হাজার বারের পর আকাশ দেখা যাবে
কতটা কান পাতলে তবে কান্না শোনা যাবে ।।
কত হাজার মরলে তবে মানবে তুমি শেষে ।।
বড্ড বেশী মানুষ গেছে বানের জলে ভেসে ।”

বুলেট, ভবনধ্বস, পেট্রোল বোম, আগুন- যার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হোক মানুষ মরছে। আমরা চাই মানুষ বেঁচে থাকুক। কোন পরিচয় বড় করে দেখে আপনি যদি কাউকে মানুষ মনে না করেন, তবে আপনি আবার ভাবুন। একইভাবে আপনিও হয়তো মানুষ পরিচিতিচিহ্নটুকু হারাতে পারেন।


Delulu and Danger of Innocence of Law

The persistent political crisis in Bangladesh is often framed as a binary dilemma: is the nation suffering from a flawed political culture, ...