Thursday, August 5, 2021

মোরাল গুণ্ডামি ও হজরত ঈসা (আ.)

নাজারাতের মহাপুরুষ হযরত ঈসা রুহুল্লাহ যখন জেরুজালেমে গেলেন তখনকার ঘটনা। তখনকার নীতি-গুন্ডারা এক মহিলাকে মারার জন্য তাড়াচ্ছিল। মহিলার অপরাধ সে প্রস্টিটিউট। তার এই অনৈতিক কাজের জন্য তাকে পাথর ছুড়ে হত্যা করতে চায় সবাই। হযরত ঈসা রুহুল্লাহ গাছের ছায়ায় বসে ছিলেন। মহিলা দৌড়ে এসে সেখানে এক দেয়ালের কাছে আটকে গেল। যাওয়ার আর জায়গা নেই। উত্তেজিত নীতি-গুণ্ডারাও সেখানে এসে থামল। হযরত ঈসা রুহুল্লাহ কথা বলতে পারতেন চমৎকার। (যখনই তিনি গল্প বলতেন কেউ না শুনে পারত না। জুদাস ত ভাবছিলেন রোমান বিচারক আর ইহুদী রাব্বি সবাইকে তিনি কনভিন্সড করে ফেলতে পারবেন তার ঐশ্বরিক কথা এবং কথা বলার শক্তিতে।)

তিনি বুঝেছিলেন ঐ উত্তেজিত মব তথা মোরাল-গুণ্ডাদের বুঝানোর সুযোগ খুব কম। মোরালিটিতে উত্তেজিত হয়ে পড়লে লোকজন আর ওয়াজ নসিহতও ব্যাখ্যা শুনতে চায় না। হযরত ঈসা রুহুল্লাহ তাদের জানালেন, আচ্ছা তোমরা পাথর মারতে চাও মারবা। তাতে কোন সমস্যা নাই। যেহেতু এই মহিলা পাপ করেছে তাই তাকে শাস্তি পেতে হবে। মহিলা চমকে গেলেন। আশ্রয়ের জন্য যার কাছে গেলেন তিনি যদি এমন কথা বলেন তার চেয়ে দুর্দশার আর কি আছে!

নাজারাতের মহাপুরুষ হযরত ঈসা (আ.) তাদের জানালেন, তোমরা পাথর মারতে পারো। তবে তোমাদের মধ্যে যে কোনদিন পাপ করে নাই, সেই প্রথম পাথরটা মারো। উত্তেজিত জনতা কনফিউজড হয়ে হজরতের দিকে এবং একে অন্যের দিকে তাকালো। মেঘমন্দ্র স্বরে হজরত ঈসা (আ.) আবার বললেন, তোমাদের মধ্যে যে কোনদিন পাপ করে নাই, সেই প্রথম পাথরটা মারো। আরো একবার বলার পরও এমন কাউকে আবিষ্কার করা গেল না। দয়াল নবী হজরত ঈসা রুহুল্লাহর প্রতি বিরক্ত হয়ে জেরুজালেমের মোরাল-গুণ্ডারা ঐ জায়গা থেকে কেটে পড়লো।

No comments:

Post a Comment

Delulu and Danger of Innocence of Law

The persistent political crisis in Bangladesh is often framed as a binary dilemma: is the nation suffering from a flawed political culture, ...