সত্তর সত্তর হাজারে হাজারে ইনফিনিট সংখ্য়ক ফেরেস্তা আল্লার।
আমার ডান হাতে ছিল কাচা এক আলু পরোটা অার বা হাতে ধরে রেখে ছিলাম গরম তেল নাচতে থাকা কড়াইয়ের হাতল।
ফেরেস্তারা জপছিল আল্লার হাজার সেফত। মানুষের জানা ও কল্পনার ভেতরে বাইরে সত্তর হাজার সুপার কম্পুটারের সুপার ঢুপার মেমরি সমান গুনগান গুনগান গুনগান গুনগান .... এসমে আজম... আসমাউল হুসনা ... অনন্ত অসীম প্রেমময় সেফত।
অামি ভেবেছিলাম এই সন্ধ্য়ায় পেট থেকে মগজ পর্যন্ত জাগিয়ে তুলব গোলাপী শহর জয়পুরের অালু পরোটার স্বাদ ..
অথচ জানিনা পৃৃথিবীতে চাষাবাদ শুরু হওয়ার পর মান্না সালওয়ার বাবুর্চি ফেরেস্তারা এখন কি করে? কেউ কেউ নিশ্চয়ই এখনো বেকার।
কেয়ামতের ঢের দেরি। তাই কিছু নিশ্চয়ই আছেন ইস্রাফিলের এসিসট্যান্ট - কাজহীন। বিসিএস ব্য়াংক বিচারকর্ম কিংবা অারো যা লোভনীয় সরকারি চাকরির কম্পিটিশন - সেসবের প্রিপারেশন কোচিং কিছুই করেন না তারা। ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন ইস্রাফিলের আশেপাশে ইস্রাফিলের বাঁশির সময় হাততালি দেয়ার জন্য। কেউ কেউ তবলায় দাদরা বাজাবেন। তারাও বেকার এখন।
ডান হাত থেকে পরোটা কড়াইতে নামতেই নাচতে থাকা তেল লাফিয়ে চড়ল অামার বাঁ হাতে।
অথচ আল্লার সেফতে কখনো ঘাটতি ছিল না বরং ঢের ঢের বেশি অাছে জমায়েত সত্তর সত্তর হাজারে হাজারে নুরানি পর্দার আড়ালে আড়ালে।
কেউ একজন আসতে পারত নবি ইসরাঈলের সন্তানদের মান্না সালওয়া বানানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে। কাজ করত শেফ এসিসটেন্ট, আলু পরোটা বানানোর সন্ধ্যায়। আমার সঙ্গী হয়েছিল ডিমের স্বচ্ছ শীতল অংশ যার মাঝখানে কুসুমের মত বসে ছিল গোলগাল ফেরেস্তা এক।
আমার বাঁহাতের জ্বলুনি-পুড়নির জন্য নেগলিজেন্সের দায় কিছুটা ঈশ্বরের ডান দিকে দাঁড়ানো ফেরেস্তাদের। এর চেয়ে উন্নত দায়ভাগ ভারতীয় হিন্দু আইনের কোন স্কুলেও নেই।
-
‘গরমতেলের ফেরেস্তারা’ একটি জ্বলন্ত দুঃখের দোহা। ২৬/১১/২০১৭-র সন্ধ্যা।